নবম শ্রেণীর মডেল জীবন বিজ্ঞান অ্যাক্টিভিটি টাস্ক প্রশ্ন উত্তর
বহি পর্দা ,অন্ত পর্দা, অক্সিজোম, ক্রিস্টি
3. নিম্নলিখিত শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য এর ভিত্তিতে মোনেরা ও প্লান্টি রাজ্যের পার্থক্য লেখ -
ক) কোষ ও কোষের সংগঠনের প্রকৃতি খ) বাস্তুতান্ত্রিক ভূমিকা
বৈশিষ্ট | মোনেরা | প্লান্টি |
---|---|---|
কোষ ও কোষ সংগঠনের প্রকৃতি | মোনেরা পর্বের প্রাণী সরল ,এককোষী ও প্রোক্যারিওটিক কোষ যুক্ত। | প্লান্টি পর্বের প্রাণী বহুকোষী ক্লোরোফিল যুক্ত হয়। কোষ প্রোক্যারিওটিক কিংবা ইউক্যারিওটিক হতে পারে। |
এই পর্বের প্রাণীদের কোষ প্রাচীর পেপটোগ্লাইক্যান দ্বারা নির্মিত। | কোষপ্রাচীর সেলুলোজ নির্মিত। | |
এই পর্বের প্রাণীদের দেহে পর্দা বেষ্টিত কোষীয় অঙ্গানু থাকে না। | কোষে পর্দা বেষ্টিত কোষীয় অঙ্গানু থাকে। | |
বাস্তুতান্ত্রিক ভুমিকা | বাস্তুতন্ত্রে এই পর্বের প্রাণীরা বিয়োজকের ভূমিকা পালন করে। | বাস্তুতন্ত্রে অধিকাংশ এই পর্বের জীব উৎপাদকের ভূমিকা পালন করে। |
3. হাঙ্গর যে শ্রেণীর অন্তর্গত সেই শ্রেণীর তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো
উত্তর : হাঙ্গর মাছ কনড্রিকথিস শ্রেণীর অন্তর্গত। কনড্রিকথিস শ্রেণীটি কর্ডাটা পর্বের অন্তর্ভুক্ত।
◾ কনড্রিকথিস শ্রেণীর বৈশিষ্ট্য
- এই শ্রেণীর প্রাণীদের অন্তঃকঙ্কাল তরুণাস্থি নির্মিত।
- এই শ্রেণীর প্রাণীদের ত্বকে যে আশ থাকে তা অণুবীক্ষণিক নয়। এদের দেহে ডারমাল প্রকৃতির সাইক্লয়েড কিংবা টিনয়েড কিংবা গ্যানয়েড আশ থাকে।
- এই শ্রেণীর প্রাণীদের মুখছিদ্র থাকে মস্তিষ্কের অঙ্কিয় দেশে অর্থাৎ সামনা সামনি না থেকে নিচের দিকে।
- এই শ্রেণীর প্রাণীদের দেহে কোন পটকা থাকে না।
- এই শ্রেণীর প্রাণীদের লেজে অসমান হেটারোসার্কাল প্রকৃতির পাখনা থাকে।
4. সিউডোসিলোম যুক্ত একটি প্রাণীর নাম লেখ এবং ওই প্রাণীটি যে পর্বের অন্তর্গত তার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ
উত্তর : সিউডোসিলোম যুক্ত একটি প্রাণী হল গোলকৃমি।
◾ নিমাটোডা পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য
- নিমাটোডা পর্বের প্রাণীদের দেহে ত্রিস্তর বিশিষ্ট সিউডোসিলোম থাকে।
- নেমাটোডা পর্বের প্রাণীদের দুটি বৈশিষ্ট্য
- এই পর্বের প্রাণীদের দেহ নলাকার দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম এবং দেহে সিউডোসিলোম থাকে।
- এই পর্বের প্রাণীদের দেহের দুপ্রান্ত ক্রমশ সরু হয়।
- এই পর্বের প্রাণীরা একলিঙ্গ হয় অর্থাৎ স্ত্রী-পুরুষ ভেদাভেদ আছে।
5. আরশোলার আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভুক্তির স্বপক্ষে যুক্তি দাও
উত্তর : আর্থোপোডা পর্বের প্রাণীদের দেহে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য দেখা যায় যা আরশোলার দেহতেও দেখা যায়:
- এই পর্বের প্রাণীদের দেহ খন্ড যুক্ত হয় এবং প্রতি খন্ডকে একজোড়া সন্ধিল উপাঙ্গ থাকে যা আরশোলাতেও বর্তমান।
- এই পর্বের প্রাণীদের দেহে হিমোসিল বা দেহগহ্বর থাকে যা আরশোলা তেও বর্তমান।
- এই পর্বের প্রাণীদের রক্ত সংবহনতন্ত্র মুক্ত প্রকৃতির যা আরশোলার ও ।
- এই পর্বের প্রাণীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুঞ্জাক্ষি থাকে এবং আরশোলার ক্ষেত্রেও পুঞ্জাক্ষি দেখা যায়।
6. মানবদেহে ভিটামিন-A ও ভিটামিন-D এর ভূমিকা উল্লেখ করো
◾ মানব দেহে ভিটামিন A এর ভূমিকা
- ভিটামিন A চোখের রেটিনার রড কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
- ভিটামিন A জারণ প্রতিরোধ করে অর্থাৎ সহজে বৃদ্ধ হতে দেয় না।
- ভিটামিন A ত্বক চকচকে রাখে তাই একে গ্ল্যামার ভিটামিন ও বলা হয়।
- ভিটামিন A স্নায়ু কলার পুষ্টি ও কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
◾ মানব দেহে ভিটামিন D এর ভূমিকা
- ভিটামিন D অস্থি ও দাঁত গঠন ও শক্ত করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন D রিকেট রোগ প্রতিরোধ করে।
- ভিটামিন D ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণে সাহায্য করে।
8. ভাজক কলার বৈশিষ্ট্য লেখ
- ভাজক কলার কোষ গুলি ছোট হয় এবং কোষগুলি গোলাকার ডিম্বাকার বা বহুভুজ আঁকা হয়।
- ভাজক কলার কোষগুলির কোষপ্রাচীর পাতলা হয়।
- ভাজক কলার কোষ গুলি ঘন সাইটোপ্লাজম পূর্ণ এবং বড় ও স্পষ্ট নিউক্লিয়াস যুক্ত।
- এই কলার কোষ গুলি অপরিণত এবং সব সময় বিভাজিত হয়ে অপত্য কোষ সৃষ্টি করে।
- কোষ গুলিতে সাধারণত ভ্যাকুওল থাকে না।