ষষ্ঠ শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2022 January - এর প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আজকের এই পর্বে আমরা আলোচনা করব । ক্লাস সিক এর পরিবেশ মডেল অ্যাক্টিভিটি এর পাশাপাশি আমরা অন্যান্য ক্লাসের- ও মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর উত্তর প্রকাশ করি । তাহলে চলো শুরু করিঃ
১. শূন্যস্থান পূরণ করো :
১.১ সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে _____ পাওয়া যায়।
উত্তরঃ সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে কুইনাইন পাওয়া যায়।
১.২ সবুজ উদ্ভিদ খাবার তৈরি করার সময় পরিবেশে ______ গ্যাস ত্যাগ করে।
উত্তরঃ সবুজ উদ্ভিদ খাবার তৈরি করার সময় পরিবেশে অক্সিজেন গ্যাস ত্যাগ করে।
১.৩ পাঁউরুটি তৈরি করতে লাগে এককোশী ছত্রাক, ________ ।
উত্তরঃ পাঁউরুটি তৈরি করতে লাগে এককোশী ছত্রাক, ইস্ট ।
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১ সিল্ক কোথা থেকে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ সিল্ক পাওয়া যায় রেশম মথ থেকে ।
২.২ পরাগমিলনে সাহায্য করে এমন একটি প্রাণীর নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ২.২ পরাগমিলনে সাহাজ্য করে এমন একটি প্রাণী হল মৌমাছি ।
২.৩ মানুষের দেহে বাস করে এমন একটি পরজীবীর নাম লেখো।
উত্তরঃ মানুষের দেহে বাস করে এমন একটি পরজীবী হল উকুন।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ জামাকাপড়ের জন্য মানুষ কীভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর: জামাকাপড় তৈরি করার জন্য মানুষ গাছের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে। কার্পাস, শিমুল, পাট - ইত্যাদি গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে তন্তু তৈরি হয়। সেইসব তন্তু দিয়েই তৈরি হয় সুতো। আর সেই সুতো দিয়ে তৈরি হয় অনেক দামী দামী পোশাক।
৩.২ “প্রাণীরা উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে”—দুটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: (১) প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উদ্ভিদের কাছ থেকেই পায়।
(২) বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে যেমন সিঙ্কোনা সর্পগন্ধা তুলসী বাসক গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে নানান রকম ঔষধি দ্রব্য তৈরি হয়।
৩.৩ মানুষ খাবারের জন্য কীভাবে প্রাণীদের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর: মানুষ যেভাবে অন্যান্য প্রাণীদের ওপর খাবারের জন্য নির্ভর করে :
মানুষ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, মধু , পনির- এসব তো প্রাণীদের থেকেই পায় । দুধ থেকে নানান খাবার তৈরি হয় যেমন, দই, ছানা, ঘোল , মাখন ইত্যাদি। প্রানিজ প্রোটিন হচ্ছে উৎকৃষ্ট প্রোটিন । মাছের যকৃতের তেল , কড লিভার অয়েল আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবারের উৎকৃষ্ট উৎস।
৩.৪ বর্তমানে চাষের কাজে কেন নানারকম যন্ত্রপাতি প্রাণীদের জায়গা নিচ্ছে?
উত্তর: চাষের কাজে লাঙল-চষা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি কমানোর জন্য নানা প্রাণীদের কাজে লাগানো হতো। ফলে চাষের কাজ অনেক সহজ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বর্তমানে চাষের কাজে পশুদের জায়গা নিচ্ছে নানারকম যন্ত্রপাতি। কারণ পশুদের বিশ্রাম প্রয়োজন কিন্তু যন্ত্রপাতি একটানা অনেকক্ষণ কাজ করতে পারে। পশুর তুলনায় যন্ত্রপাতির সাহায্যে অল্প সময়ে অনেক কাজ করা যায়। তাই চাষের কাজে বর্তমানে নানা রকম যন্ত্রপাতি প্রাণীদের জায়গা নিচ্ছে।
৪. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ “উদ্ভিদরা প্রাণীদের ওপর নানাভাবে নির্ভর করে”—একটি উদাহরণের সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণী দের উপর নানাভাবে নির্ভর করে। নিচে কতগুলো আলাদা আলাদা উদাহরণের মাধ্যমে তা বোঝানো হলো -
(১) গাছের পরাগমিলন এ মৌমাছি, প্রজাপতি প্রভৃতি পতঙ্গ এবং হামিং বার্ড এর মত পাখিরা সাহায্য করে। নতুন উদ্ভিদ তৈরীর জন্য পরাগমিলন খুবই জরুরী।
(২) গাছের বংশবিস্তারে বিভিন্ন পাখি, কুকুর , বাদুড় ইত্যাদি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। এই সমস্ত প্রাণীরা খাবার খেয়ে বীজ দূরে ছড়িয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ তার শরীরের সঙ্গে গাছের ফল আটকে দূরে ছড়িয়ে দেয়।
(৩) উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ অর্থাৎ খাদ্য তৈরীর জন্য প্রয়োজন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস। প্রাণীরা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ত্যাগ করে যা উদ্ভিদ গ্রহণ করে।
উপরের তিনটি উদাহরণ থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় যে উদ্ভিদ প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
৪.২ “ধানখেতে অ্যাজোলা চাষ করলে আর সার দিতে লাগে না”—ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আসলে অ্যাজোলা হলো এক ধরনের পানা। অ্যাজোলার পাতার মধ্যে এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়া বাস করে। এই ব্যাকটেরিয়া বাতাসের নাইট্রোজেন কে বেঁধে ফেলে সার তৈরি করতে পারে। তাতে অ্যাজোলার উপকার হয়। কারণ সারের জন্য নাইট্রোজেন লাগে। আর অ্যাজোলা তার পাতায় ওই ব্যাকটেরিয়াকে থাকবার জায়গা দেয়। এতে দুজনেরই বোঝাপড়া থাকে ফলে দুজনেরই উপকার হয়। তাই ধানক্ষেতে এজোলা চাষ করলে আর সার দিতে লাগে না।
তাহলে আশা করি আজকের Class 6 Science (Poribesh o bigyan) Model activity task তোমাদের খুব ভাল লেগেছে । উত্তর এর ভিডিও ো ব্যখ্যা এর জন্য নিচের ভিডিও দেখতে পারোঃ