ননবম শ্রেণীর ভূগোল : অধ্যায় - 4 - "চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ" - এর প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আজকের পর্বে আলোচনা করব। তোমাদের পাঠ্যপুস্তককে সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করে এই প্রশ্ন উত্তর লেখা হয়েছে। এই সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর ভালোভাবে পড়লেই আশা করা যায় পরীক্ষায় তাই সমস্ত এই অধ্যায়ের প্রশ্নগুলি উত্তর করতে পারবে।
অধ্যায় 4 : চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ
1. সৌরজগতের একমাত্র কোন গ্রহে বায়ুমণ্ডল রয়েছে?
উত্তর: পৃথিবী।
2. "বায়ুর চাপ" বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বায়ুর ওজন আছে, বায়ু পৃথিবীর পৃষ্ঠে চাপ দেয়। এই চাপই "বায়ুর চাপ"।
3. বায়ুর চাপ কে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?
উত্তর: বায়ুর চাপ কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ।
বায়ুচাপ বলয়
4. বায়ুচাপ বলয় কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে সমধর্মী বায়ুস্তর কয়েকটি বলয়ের আকারে পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে, যা বায়ুচাপ বলয় বা Pressure belts নামে পরিচিত।
5. পৃথিবীপৃষ্ঠে কয়টি বায়ুচাপ বলয় রয়েছে? সেগুলির নাম লেখ।
উত্তর: 7 টি বায়ুচাপ বলয় রয়েছে। সেগুলি হল -
- নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়। (১ টি)
- কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়। (২ টি)
- সুমেরুবৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়। (২ টি)
- সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয়। (২ টি)
6. নিরক্ষীয় অঞ্চলের অবস্থান লেখ।
উত্তর: নিরক্ষরেখার দুপাশে, নিরক্ষরেখা (0°) থেকে উত্তর ও দক্ষিণে 5° অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল কে নিরক্ষীয় অঞ্চল বলে।
7. নিরক্ষীয় অঞ্চল _____ বায়ুচাপ বিশিষ্ট হয়।
উত্তর: নিম্ন।
8. নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ বিরাজ করে কেন?
অথবা, নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ বায়ুচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে কেন?
উত্তর: প্রধানত তিনটি কারণে নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ বিরাজ করে। যেমন:
- নিরক্ষীয় অঞ্চলের সারা বছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ায় এখানকার বায়ু উষ্ণ ও হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়।
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে স্থলভাগের চেয়ে জলভাগ বেশি। তাই বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হয়। জলীয়বাষ্পের ঘনত্ব বায়ুর চেয়ে কম হওয়ায় জলীয়বাষ্পযুক্ত বায়ু হালকা হয়।
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সর্বাধিক হয়। এর ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চলের বায়ু উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ছিটকে যায় এবং বায়ুর পরিমাণ কমে যায়।
9. নিরক্ষীয় অঞ্চলে _______ বায়ুর চাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তর: নিম্নচাপ।
10. দুটো দেশ ও দুটো মহাসাগরের নাম করো যার ওপর দিয়ে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় বিস্তৃত।
উত্তর: নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় (Equatorial Low Pressure Belt) প্রধানত নিম্নলিখিত দেশ ও মহাসাগরের ওপর দিয়ে বিস্তৃত:
দেশসমূহ: ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, কঙ্গো, উগান্ডা, কেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া
মহাসাগরসমূহ: আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর
11. বায়ু প্রবাহ ও বায়ু স্রোতের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ুর অনুভূমিক চলাচল হলো বায়ুপ্রবাহ, আর ভূপৃষ্ঠের ওপর বায়ুর উল্লম্ব ↑↓ চলাচল হল বায়ুস্রোত।
12. নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় এর অবস্থান লেখো।
উত্তর: নিরক্ষরেখার উত্তর ও দক্ষিণে 5° উত্তর থেকে 5° দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত।
13. নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় কে শান্তবলয় বা ডোলড্রামস বলে কেন ?
উত্তর: "ডোলড্রামস" কথার অর্থ হলো শান্ত অবস্থা। নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে বায়ুর উষ্ণ ও হালকা হয়ে সোজা উপরে উঠে যায়। এর ফলে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে কোন বায়ুপ্রবাহিত হয় না। ফলে শান্ত ভাব বিরাজ করে। প্রাচীনকালে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে জাহাজ চালানোর সময় সেগুলি প্রায়ই থেমে যেত। তাই নাবিকরা এই অঞ্চলের নামকরণ করেন "ডোলড্রামস" যার অর্থ হলো শান্তাবস্থা।
14. সংক্ষেপে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়: এই বায়ুচাপ বলয়টিতে দুই গোলার্ধের উপক্রান্তীয় উচ্চ-চাপ বলয় থেকে আসা আয়ন বায়ু মিলিত হয়। বায়ু উষ্ণ ও হালকা হয়ে সোজা উপরে উঠে যাওয়াই ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে কোন বায়ু প্রবাহিত হয় না। তা এখানে শান্ত ভাব বিরাজ করে। তাই এই বলয়টিকে শান্তবলয় বা ডোলড্রাম বলয়ও বলা হয়।
এর অবস্থান সূর্যের আপাত চলনের সাথে পরিবর্তিত হয়।
যেহেতু এই অঞ্চলটি নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থিত হাওয়াই এখানে সূর্য রশ্মি লম্বভাবে পড়ে। তীব্র উত্তাপের কারণে, বায়ু উত্তপ্ত হয়ে যায়। বাতাসের উল্লম্বভাবে উর্ধ্বমুখী চলাচল হওয়ার ফলে এখানে নিম্নচাপ বিরাজ করে।
এই নিম্নচাপ বলয়ের বৃহৎ অংশটি সমুদ্রের উপর দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বায়ু প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প গ্রহণ করে। এর ফলে বায়ু আরো হালকা হয়ে যায়। উল্লম্ব বায়ু (পরিচলন) আর্দ্রতা বহন করে কিউমুলোনিম্বাস মেঘ এবং বজ্রপাতযুক্ত বৃষ্টি ঘটায় (পরিচলন বৃষ্টিপাত)।
উচ্চ-তাপমাত্রা সত্ত্বেও কোরিওলিস বল না থাকার কারণে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় না।
15. পৃথিবীতে মোট কয়টি নিম্নচাপ বলয় রয়েছে?
উত্তর: 3 টি।
16. পৃথিবীতে মোট কয়টি উচ্চচাপ বলয় রয়েছে?
উত্তর: 4 টি ।
17. কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় এর অবস্থান লেখ।
উত্তর: 25° উত্তর অক্ষরেখা থেকে 35° উত্তর অক্ষরেখা পর্যন্ত।
18. মকরীও উচ্চচাপ বলয় এর অবস্থান লেখো।
উত্তর: 25° দক্ষিণ অক্ষরেখা থেকে 35° দক্ষিণ অক্ষরেখা পর্যন্ত।
19. কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়ের আরেক নাম কর্কটীয় ___ ।
উত্তর: শান্তবলয়।
20. মকরীয় উচ্চচাপ বলয় এর আরেক নাম ____।
উত্তর: শান্তবলয়।
21. কর্কটীয় ও মকরীয় চাপ বলয় দুটি উচ্চচাপযুক্ত কেন?
অথবা, কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় কেন সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর:
- নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে উষ্ণ, আদ্র ও হালকা বায়ু উপরে উঠে ক্রমশ শীতল, ভারী ও ঘন হতে থাকে। এই ঊর্ধ্বগামী বায়ু পৃথিবীর আবর্তনের ফলে বিক্ষিপ্ত হয়ে কর্কট ও মকরীয় অঞ্চলে নেমে আসে।
- আবার মেরু অঞ্চল থেকে ঠান্ডা ও শুষ্ক বায়ু নিচের দিকে নেমে এসে দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থান করে।
- দুটি বিপরীত ধর্মী বাতাস দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে মিলিত হওয়ার ফলে এখানে বায়ুর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং উচ্চচাপ বিরাজ করে।
22. কর্কটীয় ও মকরীয় বলয় কে শান্তবলয় বলার কারণ কি?
উত্তর: দুটি বিপরীত ধর্মী বাতাস দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে মিলিত হবার ফলে এখানের বায়ুর পরিমাণ বেড়ে গেলেও অনুভূমিক প্রবাহ খুব বেশি থাকে না। এখানে একটা শান্ত ভাব বিরাজ করে। তাই কর্কটীয় ও মকরীয় বলয়কে শান্তবলয় বলা হয়।
বি: দ্র: ষোড়শ শতকে এই দুই ক্রান্তীয় শান্ত বলয় দিয়ে পালতোলা জাহাজগুলো চলাচলের সময় গতিহীন হয়ে পড়তো।
23. অশ্ব অক্ষাংশ কাকে বলে এবং কেন ?
উত্তর: 25° থেকে 35° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশকে অশ্ব অক্ষাংশ বলা হয়।
কারণ: ষোড়শ শতকে কর্কটীয় ও মকরীয় শান্তবলয় দিয়ে পালতোলা জাহাজগুলো চলাচলের সময় গতিহীন হয়ে পড়তো। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ থেকে আসা ঘোড়াভর্তি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওজন কমাতে এবং পানীয় জল ও খাবারের সংকট এড়াতে জীবন্ত ঘোড়াগুলোকে আটলান্টিক মহাসাগরে ফেলে দিতে হতো। এই কারণেই নামকরণ হয়েছে অশ্ব অক্ষাংশ।
24. অশ্ব অক্ষাংশ বরাবর পালতোলা জাহাজগুলো গতিহীন হয়ে পড়তো কেন?
উত্তর:
শান্ত বলয়: দুটি বিপরীত ধর্মী বাতাস দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে মিলিত হবার ফলে এখানের বায়ুর পরিমাণ বেড়ে গেলেও অনুভূমিক প্রবাহ খুব বেশি থাকে না।
কোরিওলিস বলের অভাব: পালতোলা জাহাজগুলি অশ্ব অক্ষাংশ বরাবর কোরিওলিস বলের অভাবে গতিহীন হয়ে পড়ত। অশ্ব অক্ষাংশের নিকট এই বল কম হওয়ার ফলে, অশ্ব অক্ষাংশ বরাবর যাওয়া জাহাজগুলির গতিহীন হয়ে পড়তো।
কোরিওলিস বল: কোরিওলিস বল হলো সেই বল যা পৃথিবীর অক্ষের চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণন দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই বল বায়ু প্রবাহের দিককে প্রভাবিত করে। এই বলের প্রভাবে বায়ু দক্ষিণ গোলার্ধে বায়ু বাম দিকে এবং উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে বেকে প্রবাহিত হয়।
25. মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় চাপ বলয় দুটি কি কি?
উত্তর: সুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়।
26. মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলা হয় সৃষ্টি হওয়ার কারণ কি?
উত্তর: প্রধানত দুটি কারণে মেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলার সৃষ্টি হয়েছে :
- দুই গোলার্ধের মেরু অঞ্চলের তুলনায় পার্শ্ববর্তী মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চলের উষ্ণতা বেশি হয়। ফলে এই অঞ্চলের উপরে ওঠে ও প্রসারিত হয়।
- এই ঊর্ধ্বগামী বায়ু আবর্তনের ফলে উত্তর ও দক্ষিণ দিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে দুই গোলার্ধের ক্রান্তীয় ও মেরু অঞ্চলের দিকে নেমে আসে।
27. দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশে বায়ুর কি ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়?
উত্তর: নিম্নচাপ।
28. দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চল থেকে বায়ু উর্ধ্বগামী হয়ে কোন কোন অঞ্চলে নেমে আসে?
উত্তর: কুমেরু অঞ্চল ও মকরীও অঞ্চলে।
29. উত্তর গোলার্ধে সুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চল থেকে বায়ু ঊর্ধগামী হয়ে কোন কোন অঞ্চলে নেমে আসে?
উত্তর: সুমেরু অঞ্চল ও কর্কটীয় অঞ্চলে।
30. মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় এর অবস্থান লেখো।
উত্তর: উভয় গোলার্ধে 60° থেকে 70° অক্ষরেখার মাঝে।
31. মেরু অঞ্চলে কি ধরনের চাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর: উচ্চচাপ।
32. মেরু অঞ্চলে উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে কেন?
উত্তর:
- দুই মেরু অঞ্চলে সারা বছর বরফ জমে থাকায় উষ্ণতা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। তা এখানকার বাতাস ভীষণ শীতল ও ভারী।
- মেরু অঞ্চলের সূর্য রশ্মি তীর্যকভাবে পড়ায় তাপের অভাবে বাষ্পীভবনের পরিমাণ কম। ফলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হয়।
- পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সবচেয়ে কম এবং মেরু বৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চলের তুলনায় বেশি হওয়ায় বায়ুর কিছু অংশ মেরু অঞ্চলে নেমে আসে।
33. মেরু অঞ্চলীয় উচ্চচাপ বলয় এর অবস্থান লেখো।
উত্তর: উভয় গোলার্ধ ৮০° অক্ষরেখা থেকে মেরু বিন্দু (৯০°) পর্যন্ত।
34. সুমেরু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত দুটো দেশ ও দুটো সাগরের নাম লেখ।
উত্তর: দেশ: গ্রিনল্যান্ড ও নরওয়ে।
সাগর: বারেন্টস সাগর (Barents Sea) ও কারা সাগর (Kara Sea)
মহাসাগর: আর্কটিক মহাসাগর (Arctic Ocean) ও আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic Ocean)।
35. পৃথিবীতে কটা বায়ুর চাপ বলয় আছে তাদের নাম লেখ।
উত্তর: পৃথিবীতে মোট 7 টি বায়ুচাপ বলয় আছে। তার মধ্যে 3 টি নিম্নচাপ বলয় ও 4 টি উচ্চচাপ বলা হয়। যথা:
- নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়।
- কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়।
- মকরীয় উচ্চচাপ বলয়।
- সুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়।
- কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়।
- সুমেরু উচ্চচাপ বলয়।
- কুমেরু উচ্চচাপ বলয়।
[ চিত্র সম্পর্কিত প্রশ্নগুলির উত্তর আমরা তৈরি করছি শীঘ্রই আপডেট করব। তোমরা আপাতত পাঠ্য বই দেখো।]
36. বায়ুচাপ বলই গুলোর অক্ষাংশগত বিস্তৃতি উল্লেখ করে চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
উত্তর: পাঠ্যবই দেখো।
37. অক্ষাংশগত বিস্তৃতির উল্লেখ করে অশ্ব-অক্ষাংশ এবং ডোলড্রাম অঞ্চলের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন কর।
উত্তর: পাঠ্যবই দেখো।
38. কোন কোন বায়ুচাপ বলয় থেকে বায়ু উলম্বভাবে বিক্ষিপ্ত হয় এবং কোন কোন বায়ুচাপ বলে এসে বায়ুম মিলিত হয় এঁকে বোঝাও।
উত্তর: পাঠ্যবই দেখো।
বায়ু প্রবাহ
39. বায়ুপ্রবাহের অন্যতম কারণ হলো ____ ।
উত্তর: দুটো অঞ্চলের মধ্যে বায়ুচাপের পার্থক্য।
40. কোরিওলিস বল কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর আবর্তন বা ঘূর্ণন গতির কারণে পৃথিবীপৃষ্ঠের যে কোন স্বচ্ছন্দ, গতিশীল বস্তুর উপর এক ধরনের বল কাজ করে যা বস্তুগুলোর দিক বিক্ষেপ ঘটায়। এই বল হলো কোরিওলিস বল।
পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে চলাচলকারী বায়ু ও সমুদ্র স্রোতের উপর সাধারণভাবে এই বল কাজ করে।
এই বলের কারণে উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে বায়ু চলাচলের সময় ভাই সোজাসুজি প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেগে চলাচল করে।
41. ফেরেলের সূত্রটি কি?
উত্তর: কোরিওলিস বলের কারণে উত্তর গোলার্ধের বায়ু ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধের বায়ু বাম দিকে বেঁকে চলাচল করে। মার্কিন আবহবিদ উইলিয়াম ফেরেল প্রথম এই বিষয়টি উল্লেখ করায় এটি ফেরেলের সূত্র নামে পরিচিত।
42. ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী কোন গোলার্ধে বায়ু কোন দিকে প্রবাহিত হবে তির চিহ্ন দিয়ে দেখাও।
উত্তর: পাঠ্য বই দেখো।
43. বায়ুপ্রবাহের নামকরণ কিভাবে হয়?
উত্তর: বায়ু যে দিক থেকে প্রবাহিত হয় সেইদিক অনুসারে বায়ুর নামকরণ হয়।
44. বর্ষাকালে পশ্চিমবঙ্গে কোন বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হয়?
উত্তর: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে।
45. বাইস ব্যালট সূত্রটি কি?
উত্তর: উত্তর গোলার্ধে বায়ু যে দিক থেকে প্রবাহিত হয় সেই দিকে পিছন ফিরে দাঁড়ালে ডানদিকে বায়ুর উচ্চচাপ ও বামদিকে নিম্নচাপ হয়।
46. নিয়ত বায়ুপ্রবাহ কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: সারা বছর ধরে নিয়মিতভাবে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে একই দিকে প্রায় একই গতিবেগে প্রবাহিত বায়ু হলো নিয়ত বায়ু।
নিয়ত বায়ু তিন প্রকার। যথা -
- আয়ন বায়ু
- পশ্চিমা বায়ু
- মেরু বায়ু।
47. আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ুর সম্পর্কে নিম্নলিখিত তথ্যগুলি দিয়ে একটি ছক তৈরি কর।
- কোন বায়ুচাপ বলয় থেকে প্রবাহিত হয়?
- কোন বায়ুচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়?
- অক্ষাংশগত প্রবাহের অবস্থান লেখ
- এই বায়ুর প্রভাব কি?
উত্তর:
আয়ন বায়ু | পশ্চিমা বায়ু | মেরু বায়ু | |
---|---|---|---|
উৎপত্তি | কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় | কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় | মেরু দেশীয় উচ্চচাপ বলয় |
প্রবাহের দিক | নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় | সুমেরু বৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় | মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় |
অক্ষাংশগত অবস্থান | 5° থেকে 25° অক্ষাংশ | 35° থেকে 60° অক্ষাংশ | 70° থেকে 80° অক্ষাংশ |
প্রভাব | বৃষ্টিপাত হয় না। মহাদেশের পশ্চিমাংশে মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে। | নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমির সৃষ্টি হয়েছে। মহাদেশের পশ্চিমাংশে যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টিপাত ঘটায়। | এই বায়ুর প্রভাবে চীন, আফ্রিকা, ইথিওপিয়াতে বৃষ্টিপাত হয়। |