Class 10 model activity task Life science part 7 new 2021 বা দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৭ 2021 এর সমস্ত প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব।
Class 10 model activity task Life science part 7
দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক PART 7
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021
ক্লাস টেন লাইফ সাইন্স
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখো:
১.১ পতঙ্গের সাহায্যে পরাগযোগ হয় যে উদ্ভিদে তা নির্বাচন করো
(ক) পাতারাঝি
(খ) আম
(গ) ধান
(ঘ) শিমুল
উত্তর: ১.১ পতঙ্গের সাহায্যে পরাগযোগ হয় যে উদ্ভিদে তা হলো (খ) আম।
১.২ মানুষের অটোজোমে থাকা জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না যেটি, তা শনাক্ত করো –
(ক) কানের মুক্ত লতি
(খ) রোলার জিভ
(গ) থ্যালাসেমিয়া
(ঘ) হিমোফিলিয়া
উত্তর: ১.২ মানুষের অটোজোমে থাকা জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না যেটি , সেটি হলো –(ঘ) হিমোফিলিয়া।
১.৩ YyRr জিনোটাইপযুক্ত মটরগাছ থেকে কত ধরনের গ্যামেট উৎপন্ন হয় তা নিরূপণ করো –
(ক) এক ধরনের
(খ) দুই ধরনের
(গ) তিন ধরনের
(ঘ) চার ধরনের
উত্তর : ১.৩ YyRr জিনোটাইপযুক্ত মটরগাছ থেকে (ঘ) চার ধরনের গ্যামেট উৎপন্ন হয় ।
২. A স্তম্ভে দেওয়া শব্দের সঙ্গে B-স্তম্ভে দেওয়া সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত শব্দটির সমতা বিধান করে উভয় স্তম্ভের ক্রমিক নং উল্লেখসহ সঠিক জোড়টি পুনরায় লেখো :
"A" স্তম্ভ | "B" স্তম্ভ |
---|---|
২.১ স্পাইরোগাইরা | (a) স্টক এবং সিয়ন |
২.২ প্রকট বৈশিষ্ট্য | (b) পুনরুৎপাদন |
২.৩ গ্রাফটিং | (c) মটরের বেগুনি বর্ণের ফুল |
২.৪ প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য | (d) খন্ডীভবন |
(e) মটরের কুঞ্চিত বীজ |
উত্তর :
"A" স্তম্ভ | "B" স্তম্ভ |
---|---|
২.১ স্পাইরোগাইরা | (d) খন্ডীভবন |
২.২ প্রকট বৈশিষ্ট্য | (c) মটরের বেগুনি বর্ণের ফুল |
২.৩ গ্রাফটিং | (a) স্টক এবং সিয়ন |
২.৪ প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য | (e) মটরের কুঞ্চিত বীজ |
৩. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও।
৩.১ ইতর পরাগযোগের একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা উল্লেখ করো।
উত্তর:সুবিধা: ইতর পরাগযোগ এর ফলে নতুন গুণ বা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উদ্ভিদের উদ্ভব হয়।
অসুবিধা: ইতর পরাগযোগ এর ফলে উদ্ভিদের কোন একটি বিশেষ প্রজাতির বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়ে যায়।
৩.২ শাখাকলমের সাহায্যে কীভাবে কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার করা হয় তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: শাখা কলম এর জন্য প্রথমে সুস্থ উদ্ভিদের সুস্থ , স্বাভাবিক, এবং গিট (Bug) এবং রোগাক্রান্ত নয় এমন শাখা কেটে বালিযুক্ত মাটিতে পোঁতা হয়। নিয়মিত জল দেয়া হয় এবং ওই পোঁতা অংশ থেকে অস্থানিক মূল এবং তার বিপরীত অংশ থেকে অস্থানিক মুকুল জন্মায়। শেষ পর্যন্ত তা থেকে ক্রমশ অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। যেমন: ডালিয়া, গোলাপ , নয়নতারা ইত্যাদি উদ্ভিদের শাখা কলম করা হয়।৩.৩ মানব বিকাশের বার্ধক্য দশার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করো।
উত্তর: মানব বিকাশের বার্ধক্য দশার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো:(i) এই সময় স্ত্রী ও পুরুষ দেহের ক্ষয়পূরণ জনিত বৃদ্ধি ছাড়া আর কোন রকম বৃদ্ধি ঘটে না।
(ii) অস্থি ও পেশীর ক্ষয় শুরু হয়। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং ত্বক কুঁচকে যায়। শরীরে মেলানিন উৎপাদন কমে যায় ফলে চুল সাদা হয়ে যায়।
৩.৪ মেন্ডেল কীভাবে মটর ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটান তা আলোচনা করো।
উত্তর: মেন্ডেলের পরীক্ষায় মেন্ডেল উভয়লিঙ্গ মটর গাছের ফুলের পুংকেশর গুলিকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কেটে ফেলেন। এই পদ্ধতিকে ইমাসকুলেশন বলা হয়। এরপর স্ত্রী ফুলগুলিকে কাগজের থলিতে আবদ্ধ করে রাখেন যাতে নির্বাচিত জনিত্র চারা অন্য কোন মটর ফুলের পরাগরেণু দ্বারা ইতর পরাগযোগ যেন না ঘটে। এরপর কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা স্ত্রী ফুল এর উপরের থলি সরিয়ে নির্বাচিত জনিতৃ উদ্ভিদের ফুলের পরাগরেণু সূক্ষ্ম তুলির সাহায্যে ওই স্ত্রীর ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত করে ইতর পরাগযোগ ঘটান।৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ "সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ভূমিকাই প্রধান”– একটি ক্রশের সাহায্যে বক্তব্যটির সত্যতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণু উৎপাদনের সময় দুই রকমের শুক্রাণু উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুক্রাণু মাতৃকোষ থেকে মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় দুই প্রকার পুং গ্যামেট যথা: “22A+X” ও “22A+Y” তৈরি হয়।
আবার মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাণু মাতৃকোষ থেকে মিয়োসিস এর মাধ্যমে কেবলমাত্র এক গ্যামেট 22A+X তৈরি হয়।
যদি পুরুষের “22A+X” গ্যামেট এবং স্ত্রীর “22A+X” জাইগোটের নিষেকের ফলে “44A+XX জাইগোট উৎপন্ন অর্থাৎ ভ্রূণ কন্যা সন্তান হয়। কিন্তু যদি পুরুষের “22A+Y” গ্যামেট এবং স্ত্রীর “22A+X” জাইগোটের নিষেকের ফলে “44A+XY জাইগোট উৎপন্ন অর্থাৎ ভ্রূণ পুত্র সন্তান হয়।
অর্থাৎ উৎপন্ন অপত্য সন্তান পুত্র না কন্যা হবে তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে বাবার পুংগ্যামেটের উপর। এক্ষেত্রে মায়ের কোন ভূমিকা থাকে না। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে, “সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ভূমিকাই প্রধান”।
▣ “থ্যালাসেমিয়া রোগে ঘন ঘন রক্ত বদলানোর প্রয়োজন হয়”- এর ফলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে তা আলোচনা করো।
উত্তর : থ্যালাসেমিয়া রোগীর দেহে হিমোগ্লোবিনের গঠন ত্রুটি যুক্ত হওয়ায় RBC অর্থাৎ লোহিত রক্ত কণিকার আয়ু কমে যায়। যার ফলে RBC তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে যায় এবং তীব্র রক্তাল্পতার সৃষ্টি হয়। RBC এর অভাবে দেহে অক্সিজেন পরিবহন কমে যায় যার ফলে রোগীর দেহে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। যে এই সমস্যা সমাধানের জন্য থ্যালাসেমিয়া রোগীকে ঘনঘন রক্ত বদলানোর প্রয়োজন হয়।
থ্যালাসেমিয়া রোগীকে বারবার রক্ত দিলে কি সমস্যা দেখা দেয়:
ঘনঘন রক্ত বদলানোর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অতিরিক্ত লৌহ জমতে থাকে। এর ফলে যকৃত অকেজো হয়ে রোগীর প্রাণনাশের আশঙ্কাও থাকে। এই সময় লৌহযুক্ত খাবার এবং ওষুধ খাওয়া ক্ষতিকর। এর সঙ্গে ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে। বারবার রক্ত দেওয়ার ফলে অনেকের প্লীহা বড় হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তখন সেটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিত্তথলিও বাদ দেওয়া হয়।