Class 9 model activity task Geography 2021 new বা নবম শ্রেণী ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 এর সমস্ত প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব। এর আগেও আমরা 2020 সালের নবম শ্রেণী মডেল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর উত্তর প্রকাশ করেছিলাম যা তোমাদের খুবই পছন্দ হয়েছিল। তাই এবারও আমরা নবম শ্রেণীর মডেল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 নিয়ে আলোচনা করছি। আশা করি তোমাদের এবারও পছন্দ হবে। তাহলে চলো শুরু করা যাক:
Class 7 model activity task Geography 2021 new
নবম শ্রেণী ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021
ভূগোল
নবম শ্রেণি
১ ) বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ ।
১.১ ) অক্ষরেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো –
ক) সর্বোচ্চ অক্ষরেখার মান 0°
খ) প্রতিটি অক্ষরেখা মহাবৃত্ত
গ) অক্ষরেখাগুলি পরস্পরের সমান্তরাল
ঘ) প্রতিটি অক্ষরেখার পরিধি সমান
উত্তর – গ) অক্ষরেখাগুলি পরস্পরের সমান্তরাল ।
১.২ ) বিদার অগ্ন্যুদগমের মাধ্যমে সৃষ্ট ভূমিরূপ হল –
ক) স্তুপ পর্বত
খ) লাভা মালভূমি
গ) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি
ঘ) আগ্নেয়গিরি
উত্তর – খ) লাভা মালভূমি ।
১.৩ ) ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করোঃ
ক) দামোদর নদী -- পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল।
খ) কালিম্পং জেলা – সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান ।
গ) পডসল মৃত্তিকা -- পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল।
ঘ) অ্যালপাইন উদ্ভিদ -- সুন্দরবন অঞ্চল।
উত্তর – খ ) কালিম্পং জেলা – সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান ।
২ ) শূন্যস্থান পূরণ করো ।
২.১ ) দ্রাঘিমারেখাগুলি নিরক্ষরেখাকে ___ কোণে ছেদ করেছে।
উত্তর – ৯০ ডিগ্রি ।
২.২ ) আবহবিকারগ্রস্ত শিলা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে মূল শিলার অপর যে শিথিল আবরণ তৈরি করে তাকে ____ বলে ।
উত্তর – রেগোলিথ ।
২.৩ ) দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নিত্যবহ নদী হল ___ ।
উত্তর – তিস্তা ।
ক্লাস নাইন জিওগ্রাফি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 4 নিউ
২০২১
৩ ) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ।
৩.১ ) আবহবিকারে প্রাণীদের ভূমিকা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর – ক) আবহবিকারে প্রাণীদের ভূমিকা --
i ) উইপোকা ,খরগোশ, ইঁদুর, কেঁচো প্রভৃতি প্রাণীরা মাটিতে গর্ত করে বাস করে ও শিলার বিচূর্ণন ঘটে ।
ii ) প্রাণীদের মৃতদেহ ও বর্জ্যপদার্থ বিয়োজিত হয়ে শিলার রাসায়নিক আবহবিকার (Chemical weathering) ঘটে ।
খ) আবহবিকারে মানুষের ভূমিকা --
i ) ঘর বাড়ি তৈরির সময় শিলার বিচূর্ণন ঘটে ।
ii ) কৃষিকার্যের সময় যান্ত্রিক আবহবিকার ঘটে ।
iii ) খনিজ উত্তোলন, শিল্প স্থাপন প্রভৃতির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে আবহবিকার ঘটায় ।
৩.২ ) পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সভাপতি অঞ্চলে বসবাস করেন – ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর – বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯০ % সমভূমিতে বসবাস করেন । এই ভৌগোলিক কারণ গুলি হল –
i) জলবায়ু – এখানে মাঝারি উষ্ণতা ও পরিমিত বৃষ্টিপাতের জন্য জলবায়ু মৃদুভাবাপন্ন প্রকৃতির হয় ।
ii) কৃষির উন্নতি – বিস্তীর্ণ সমতল জমি, উর্বর গভীর পলি বা বেলে মাটি বা কৃষ্ণ মৃত্তিকা, জল সেচের সুবিধার জন্য সমভূমি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কৃষি অঞ্চল । যথা – সিন্ধু গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র সমভূমি ইত্যাদি ।
iii) জলের সহজলভ্যতা – সমভূমির মাটির অগভীরে ভৌম জল এবং অসংখ্য নদ-নদী, খাল ও জলাশয় থেকে সেচ, দৈনন্দিন কাজকর্ম, পানীয় ও শিল্প কাজে জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় ।
iv)পরিবহন ও যোগাযোগ উন্নতি – সমতল ভূমিরূপ এবং বিপুল জনসংখ্যার কেন্দ্রীভবনের জন্য ঘন জালের আকারে সড়ক, রেল, পাতাল রেল, নদী ও আকাশপথের বিস্তার ঘটে ।
আরও পড়ো: | 2020 নবম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 1 । Class 9 Life Science model activity part 1
আরও পড়ো: | 2020 নবম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 2 । Class 9 Life Science model activity part 2
আরও পড়ো: | 2020 নবম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 3 । Class 9 Life Science model activity part 3
৪ ) পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কিভাবে মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয় ?
উত্তর –
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু মৌসুমী প্রকৃতির ।
মৌসুমী বায়ুর আসা ও ফিরে যাওয়ার ভিত্তিতে রাজ্যে চারটে ঋতুর পর্যায়ক্রমিক আবর্তন ঘটে। গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল, শরৎকাল ও শীতকাল ।
i) বায়ুর দিকপ্রবাহ --
গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে ( সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে) এবং শীতকালে ও শরৎ কালে উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু উত্তর দিক থেকে দক্ষিন দিকে ( স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে) প্রবাহিত হয় ।
ii) আদ্র গ্রীষ্ম ও শুষ্ক শীতকাল – গ্রীষ্মকালের শেষ ভাগে বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাষ্পপূর্ণ দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু রাজ্যের সর্বত্র পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে আর্দ্র করে । বর্ষাকালের সূচনা হয় ।
আবার শীতকাল স্থলভাগ থেকে আগত জলীয় বাষ্পহীন উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুর জন্য শুষ্ক আবহাওয়া সৃষ্টি হয় ।
iii) পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত –
মৌসুমী বায়ুর বঙ্গোপসাগরিও শাখা রাজ্যে বর্ষাকালে গড়ে প্রায় ২৫০ সেমি বৃষ্টি ঘটায়। মালভূমি ছাড়া সর্বত্র আদ্র জলবায়ু সৃষ্টি করে ।
iv) বৃষ্টিপাতের বন্টন –
রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মৌসুমী বায়ু বিভিন্নভাবে প্রবাহিত হওয়ায় বৃষ্টিপাতের বন্টন সব জায়গায় সমান হয় না ।বৃষ্টিপাত উত্তর থেকে দক্ষিনে এবং দক্ষিণ থেকে পশ্চিমে ক্রমশ কম হয়।
তাই বলা যায় পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু সম্পূর্ণভাবে মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত।