দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২ পার্ট ১ এর উত্তর নিয়ে আজকের এই পর্বে আমরা আলোচনা করব। সমস্ত প্রশ্ন যা এই class 10 physical science model activity task part 1 - এ দেওয়া হয়েছে সেগুলর পুঙ্খনুপুঙ্খ উত্তর রয়েছে এখানে।
ক্লাস টেন ফিসিক্যাল সাইন্স মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ১ জানুয়ারী ২০২২
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করো : ১×৩=৩
১.১ নীচের যেটি গ্রিনহাউস গ্যাস তা হলো —
(ক) N2
(খ) O2
(গ) N2O
(ঘ) H2
উত্তরঃ (গ) N2O
১.২ যে গ্যাসটি গ্রিনহাউস গ্যাস এবং যার জলীয় দ্রবণ আম্লিক সেটি হলো —
(ক) CH4
(খ) N2O
(গ) CO2
(ঘ) CFC
উত্তরঃ (গ) CO2
১.৩ যে গ্যাসটি ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না সেটি হলো
(ক) N2
(খ) N2O
(গ) NO
(ঘ) NO2
উত্তরঃ (ক) N2
২. নীচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা তা নিরূপণ করো : ১×৫=৫
২.১ বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের একটি স্তর আছে বলেই গ্রিনহাউস এফেক্ট ঘটছে।
উত্তরঃ বিবৃতিটি মিথ্যা ।
২.২ ফসিল ফুয়েল পোড়াবার ফলে সৃষ্ট CO2, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রধান কারণ।
উত্তরঃ বিবৃতিটি সত্য ।
২.৩ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রধান উপাদান গ্যাস দুটি গ্রিনহাউস গ্যাস নয়।
উত্তরঃ বিবৃতিটি সত্য ।
২.৪ উত্তপ্ত মাটি যে ইনফ্রারেড রশ্মি ছেড়ে দেয় তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য সূর্য থেকে আগত ইনফ্রারেডের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে কম।
উত্তরঃ বিবৃতিটি মিথ্যা ।
২.৫ কম শক্তির অতিবেগুনি রশ্মি শোষণে ওজোনের অণু অক্সিজেন অণু ও অক্সিজেন পরমাণুতে ভেঙে যায়।
উত্তরঃ বিবৃতিটি মিথ্যা ।
class 10 physical science part 1 model activity task 2022
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দুটি ক্ষতিকারক প্রভাব উল্লেখ করো।
উত্তরঃ গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর দুটি ক্ষতিকারক প্রভাব :
(i) গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি :
এই শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ পৃথিবীর উষ্ণতা অন্তত পক্ষে 2°C থেকে 4°C এর মত বৃদ্ধি পাবে।
(ii) সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধি :
ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফের স্তুপগুলি গলে যাবে। এর ফলে উপকূলবর্তী এলাকা জলদ্বারা প্লাবিত হবে।
(iii) বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব :
জীবকুল উচ্চ উষ্ণতায় সহ্য করতে না পেরে বিলুপ্ত হবে। ফলে বাস্তুতন্ত্র ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৩.২ “গ্রিন হাউস এফেক্ট না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণসৃষ্টির উপযুক্ত উন্নতা সৃষ্টি হত না” – যুক্তিসহ সমর্থন করো।
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের উপস্থিত CO2, CH4, NO2, CFC, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি গ্রীন হাউজ গ্যাস পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে অবলোহিত রশ্মি রূপে বিকরিত তাপকে মহাশূন্যে বিলীন হতে দেয় না। এর ফলে ভূপৃষ্ঠ ও তার সংলোগ্ন বায়ুমণ্ডল এমন এক উষ্ণতার সীমার মধ্যে ( গড়ে 15°C) উত্তপ্ত থাকে যা মানুষ সহ সমগ্র জীবজগতের বেঁচে থাকার পক্ষে অনুকূল। বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউজ গ্যাস গুলি না থাকলে গ্রীন হাউজ প্রভাব ঘটতো না। এর ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠ ও তার সংলোগ্ন বায়ুমণ্ডলের গড় উষ্ণতা খুবই কম (প্রায় -30°C) হত। এই উষ্ণতায় পৃথিবীপৃষ্ঠে জীবকুলের বেঁচে থাকার পক্ষে অসম্ভব হত। এইভাবে জীবকুলের অস্তিত্ব রক্ষায় গ্রীন হাউজ প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বলা হয় যে “গ্রিন হাউজ এফেক্ট না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণসৃষ্টির উপযুক্ত উষ্ণতা সৃষ্টি হত না” ।
৩.৩ ওজোনস্তরের ক্ষতি হলে জীবজগতের যেসব ক্ষতি হবে তার দুটি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ওজোন স্তরের ক্ষতি হলে জীব জগতের নিম্নলিখিত ক্ষতি হবে :
(i) জীবকুলের ওপর প্রভাব : অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে বীজের অঙ্কুরোদগম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে। উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে ও শস্যের উৎপাদন হ্রাস পাবে, জলাশয় এর ফাইটোপ্লাংটন এর সালোকসংশ্লেষ ব্যাহত হবে জলজ প্রাণীদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
(ii) পরিবেশের ওপর প্রভাব : সূর্য লোকের অতিবেগুনি রশ্মি ওজোন স্তরে শোষিত না হলে তা ভূপৃষ্ঠে আপাতত হয়ে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি করবে। ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধি পাবে ও সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হবে। এছাড়াও জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে।
আরও পড়ুন : - দশম শ্রেণী গণিত মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 1 2022
৪. নীচের প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও
৪.১ কাচের গ্রিনহাউসের মধ্যের বাতাস বাইরের বাতাসের তুলনায় অপেক্ষাকৃত গরম থাকে যে যে কারণে সেগুলো ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কাচ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিক সূর্যরশ্মির মাধ্যমে আগত তাপ প্রবেশ করতে দেয়, কিন্তু বাইরে বের হতে দেয় না কারন সূর্য থেকে আগত আলোক রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষা কাঁচের দেওয়াল দ্বারা প্রতিফলিত রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হয়। আগত তাপ প্রতিনিয়ত গ্রীনহাউজের দেয়ালে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রতিফলিত হয়। এছাড়া অভ্যন্তরের উদ্ভিদ থেকেও কিছু পরিমাণ তাপ বিকীরিত হয়, তবে সূর্য-তাপের তুলনায় এর পরিমাণ নগন্য। এছাড়া চারিদিক আবদ্ধ থাকায় বায়ুপ্রবাহ থাকে না বলে তাপ গ্রীনহাউজ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না। ফলে গ্রীনহাউসের ভেতরটা বাইরের তুলনায় যথেষ্ট উত্তপ্ত থাকে।
৪.২ ওজোনস্তরের পক্ষে ক্ষতিকারক এমন একটি গ্যাসের নাম লেখো। ওজোনস্তরে 'ছিল' হওয়ার প্রকৃত অর্থ কী তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ ওজোন স্তরের পক্ষে ক্ষতিকারক এমন একটি গ্যাস হলো CFC (ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন)।
▣ মানুষের কিছু ক্রিয়া-কলাপ এর ফলে পরিবেশে মুক্ত হওয়া ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC), নাইট্রিক অক্সাইড (NO), নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) ইত্যাদির সঙ্গে বিক্রিয়ায় ওজন গ্যাস বিয়োজনের হার অত্যাধিক বেড়ে যাচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার এর অন্তর্গত ওজোন স্তরটি প্রায় সর্বত্র এইভাবে কমবেশি পাতলা হয়ে যাচ্ছে। ওজোন স্তরের এই পাতলা হওয়ার ঘটনাকে ওজন গহবর বা ওজোন স্তরের “ছিদ্র” বলে।