প্রোক্যারিওটিক কোষ ও ইউক্যারিওটিক কোষের সংজ্ঞা ও পার্থক্য
1957 সালে বিজ্ঞানী ডগহার্টি নিউক্লিয়াসের গঠন এর উপরে ভিত্তি করে কোষকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিলেন। যথা:- আদি কোষ বা প্রোক্যারিওটিক কোষ।
- আদর্শ কোষ বা ইউক্যারিওটিক কোষ।
প্রোক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে?
ইউক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে?
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের পার্থক্য
প্রোক্যারিওটিক কোষ | ইউক্যারিওটিক কোষ |
---|---|
1. কোষ প্রাচীর থাকে, যার মুখ্য উপাদান হলো মিউকোপেপটাইড বা পেপটাইডোগ্লাইক্যান। | 1. উদ্ভিদ কোষের কোষ প্রাচীর থাকে যার মুখ্য উপাদান সেলুলোজ, প্রাণী কোষে কোষ প্রাচীর থাকেনা। |
2. নিউক্লিয়াসটি আদি প্রকৃতির যা নিউক্লিয় পর্দা নিউক্লিওলাস এবং নিউক্লিয় জালক বিহীন। এটি কেবল DNA দিয়ে গঠিত। | 2. নিউক্লিয়াস টি আদর্শ প্রকৃতির যা নিউক্লিয় পর্দা নিউক্লিওলাস নিউক্লিয় রস এবং নিউক্লিয় জালক নিয়ে গঠিত। |
3. আদি কোষে পর্দাঘেরা কোন কোষ অঙ্গাণু থাকে না। | 3. এই কোষে পর্দাঘেরা কোষ অঙ্গাণু থাকে। |
4. রাইবোজোম 70S প্রকৃতির এবং ক্ষুদ্র | 4. রাইবোজোম 80S প্রকৃতির এবং বড়। |
5. শ্বসন উৎসেচক সাইটোপ্লাজম এবা প্লাজমা পর্দার অন্তগাত্রে থাকে। | 5. শ্বসন উৎসেচক সাইটোপ্লাজম এবং মাইটোকনড্রিয়ার মধ্যে থাকে |
6. ক্রোমোজোম সাধারণত থাকে না। | 6. নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে। |
7. কোষ বিভাজন অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে ঘটে। | 7. কোষ বিভাজন মাইটোসিস এবং মিয়োসিস পদ্ধতিতে ঘটে। |
8. ভ্যাকুওল সাধারণত থাকেনা। | 8. উদ্ভিদ কোষে থাকে ,প্রাণী কোষে সাধারণত থাকে না। |
9. DNA প্রোটিনের সঙ্গে সংযুক্ত ভাবে থাকে না অর্থাৎ নগ্ন প্রকৃতির। | 9. DNA প্রোটিনের সঙ্গে সংযুক্ত ভাবে থাকে। |