সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 1 উত্তর
নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখ১. চিত্রের সাহায্যে ঋতু পরিবর্তন কীভাবে সংঘটিত হয় তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ
পৃথিবীতে দিন রাত্রি কিভাবে সংঘটিত হয় এটা খুবই একটা মজাদার প্রশ্ন। এটা বোঝার জন্য আমরা সরাসরি চলে যাব 21 শে মার্চ এর দিন।
এরপর থেকে সূর্য পুনরায় দক্ষিণ দিকে ঢুকে যেতে থাকে অর্থাৎ দক্ষিণায়ন শুরু হয়। এভাবে চলতে চলতে 23 শে সেপ্টেম্বর তারিখে আবার পুনরায় নিরক্ষরেখার উপর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়।
আবার দিন রাত্রি সমান হয়। এই দিনটিকে বলা হয় মকর সংক্রান্তি। চলতেই থাকে সূর্যের দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে ঝুঁকে যাওয়া বা দক্ষিণায়ন। আগের মতোই তবে এবার কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে দিন গুলো বড় আর রাত্রিগুলো ছোট হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্য রশ্মি লম্ব ভাবে পড়ে। ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে এই সময় গৃষ্ম কাল আর উত্তর গোলার্ধে শীতকাল বিরাজ করে। এইভাবে চলতে চলতে 22 ডিসেম্বর তারিখে দক্ষিণ গোলার্ধে সবথেকে বড় দিন হয় আর সবথেকে ছোট রাত্রি। তারপর আবার সূর্যের উত্তরায়ন শুরু হয় আর এভাবেই চলতে থাকে বছরের পর বছর দিনের পর দিন।
২. একটি চিত্রের সাহায্যে কোনাে স্থানের অক্ষাংশ কীভাবে নির্ণয় করা হয, তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ
ধরি পৃথিবীর উপরে অবস্থিত একটি স্থান হল P এবং পৃথিবীর কেন্দ্র হল C। আমরা এই স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করব।
অক্ষাংশ বলতে নিরক্ষীয় তল এর সাথে ওই স্থান ও পৃথিবীর কেন্দ্র এর সংযোগ রেখাংশ যে কোন তৈরি করে তাকেই বোঝায়।P ও C এর সংযোগ রেখাংশ নিরক্ষীয় তল এর সাথে চিত্র অনুযায়ী 40 ডিগ্রি কোণ উৎপন্ন করেছে। তাই আমরা বলতে পারি P স্থানের অক্ষাংশ 40 ডিগ্রী। যেহেতু বিন্দু উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত তাই P স্থানের অক্ষাংশ 40 ডিগ্রী উত্তর। অনুরূপভাবে দক্ষিণ গোলার্ধের কোন স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যাবে এবং অক্ষাংশের মান এর শেষে দক্ষিণ কথাটি উল্লেখ করতে হবে।
৩. বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাে।
উত্তরঃ
বায়ুর উচ্চচাপ | বায়ুর নিম্নচাপ |
---|---|
1. যে সমস্ত অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতা কম সেখানে বায়ুর উচ্চচাপ দেখা যায়। | 1. যে সমস্ত অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতা বেশি সেখানে বায়ুর নিম্নচাপ দেখা যায়। |
2. উচ্চ চাপের বায়ু শীতল হাওয়ায় বায়ু সংকুচিত অবস্থায় থাকে। | 2. নিম্নচাপের বায়ু উষ্ণ হওয়ায় বায়ু প্রসারিত ও হালকা অবস্থায় থাকে |
3. বায়ুর নিমজ্জন এর কারণেও বায়ুর উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়। | 3. বায়ুর ঊর্ধ্ব গমনের কারণেও বায়ুর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। |
4. বায়ুর উচ্চচাপ অঞ্চল পরিষ্কার ও শান্ত আবহাওয়া থাকে। | 4. বায়ুর নিম্নচাপ অঞ্চলের মেঘ ,বৃষ্টি ,ঝড়, অশান্ত আবহাওয়া দেখা যায়। |
৪. এশিয়ার উষ্ণমরু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।
উত্তরঃ
এশিয়ার উষ্ণ মরু জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য:
(i) গৃষ্ম কাল উষ্ণতা থাকে 30 ডিগ্রি থেকে 35 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
(ii) শীতকালে উষ্ণতা থাকে 15° থেকে 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
(iii) এই জলবায়ু অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র 10 থেকে 25 সেন্টিমিটার।
এশিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য
(i) এই জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে উষ্ণতা থাকে 21 থেকে 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস।(ii) শীতকালে উষ্ণতা থাকে 5 ডিগ্রি থেকে 10 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
(iii) পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এখানে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয় কিন্তু গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয় না। শীতকালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 30 থেকে 35 সেন্টিমিটার।