ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 2
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
1. মৌলের ক্ষুদ্রতম কণাকে কী বলা হয়? অক্সিজেনের অণুর সংকেত লেখাে।
উত্তর: মৌলের ক্ষুদ্রতম কণা কে পরমাণু বা অ্যাটম বলা হয়।
2. পাউরুটির গায়ে ফুটো ফুটো থাকে কেন?
3. অ্যামােনিয়ার অণুতে একটি নাইট্রোজেন ও তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু বর্তমান। অ্যামােনিয়ার সংকেত লেখাে ও নাইট্রোজেনের যোজ্যতা কত তা নির্ণয় করাে।
উত্তর: অ্যামোনিয়ার সংকেত NH3
🔸 নাইট্রোজেনের যোজ্যতা 3
4. লাল পিঁপড়ে ও কাঠবিড়ালি কীভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল তা উল্লেখ করাে।
উত্তর:
🔸 লাল পিঁপড়ে সাধারণত গাছের চওড়া ও গোল পাতাকে এক জায়গায় জুড়ে দিয়ে বাসা বানায়। অর্থাৎ লাল পিঁপড়ে বাসস্থানের জন্য উদ্ভিদের ওপর সর্বতোভাবে নির্ভর করে।
🔸 কাঠবিড়ালি গাছের ডালে বাসা বানায় এবং বিভিন্ন গাছের ফলমূল ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে।অর্থাৎ কাঠবেড়ালি বাসস্থান ও খাদ্য এর জন্যই গাছের উপর নির্ভর করে।
5. জলে গুলে যাবার পরে চিনির দানাকে আর দেখা যাচ্ছে না। কী কী পরীক্ষা করলে বােঝা যেতে পারে যে চিনির অণুরা দ্রবণের মধ্যেই আছে, “হারিয়ে" যায়নি?
উত্তর: উর্ধ্বপাতন বা কেলাসন পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করা যাবে যে জল ও চিনির দ্রবণে চিনি দ্রবণের মধ্যে আছে , হারিয়ে যায়নি।
🔸 একটি পাত্রে জল ও চিনির দ্রবণ নিয়ে বার্নার কিংবা স্টোভের উপর রেখে ততক্ষণ পর্যন্ত ফোটানো হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত জল বাষ্পীভূত হয়। একসময় দেখা যাবে যে পাত্রের তলায় কঠিন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা জমেছে।এইগুলি আসলে চিনির কনা যেগুলি জলের মধ্যে দ্রবীভূত অবস্থায় ছিল।
চিনির দ্রবণের কেলাসন |
৬. ধানজমিতে অ্যাজোলা চাষের কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: অ্যাজোলা হলো এক ধরনের পানা। আসলে অ্যাজোলার পাতার মধ্যে এক ধরনের মিথোজীবি ব্যাকটেরিয়া আছে যারা বাতাসের নাইট্রোজেন কে বেঁধে ফেলতে পারে। তাতে অ্যাজোলার উপকার হয় কারণ স্যারের জন্য নাইট্রোজেন লাগে। পরে এই এজোলা পচে গিয়ে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। জমিতে আর সার দিতে লাগে না।