বাটন ক্লিক করে নিজের ক্লাসের প্রশ্ন উত্তর , মকটেস্ট খুজে নাও ! সাবস্ক্রাইব করুন

নির্জোট আন্দোলন কি | স্বাধীন ভারতের নির্জোট বা জোট নিরপেক্ষতা নীতি কি | স্বাধীন ভারতে জোট নিরপেক্ষতার প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য

নির্জোট আন্দোলন কাকে বলে আর স্বাধীন ভারতে নির্জোট আন্দোলন বা জোট নিরপেক্ষতা নীতি ভূমিকা কি ছিল ? নির্জোট আন্দোলনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য গুলি কি ছিল এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত কলম্বো সম্মেলনে 'জোটনিরপেক্ষ' কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয় । জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু । যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য নেতা ছিলেন
নির্জোট আন্দোলন কাকে বলে আর স্বাধীন ভারতে নির্জোট আন্দোলন বা জোট নিরপেক্ষতা নীতি ভূমিকা কি ছিল ? নির্জোট আন্দোলনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য গুলি কি ছিল এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বা নির্জোট আন্দোলন

💠 নির্জোট আন্দোলন কি ?


১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত কলম্বো সম্মেলনে 'জোটনিরপেক্ষ' কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয় । জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু । যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য নেতা ছিলেন । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জোট নিরপেক্ষতার ধারণা জনপ্রিয় হতে থাকে । এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অনুন্নত ও উন্নয়নশীল বহু দেশ 'তৃতীয় বিশ্বের দেশ' [Third World] নামে পরিচিত হয় । পশ্চিমি সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের শাসন ও শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে এই সমস্ত দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয় । স্বাধীনতা লাভের পর এইসব দুর্বল ও দরিদ্র দেশগুলি আর্থিক উন্নয়নের জন্য প্রায় একই ধরনের বিদেশনীতি গ্রহণ করেছিল । এই কারণে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে ওঠে । দেশগুলির বিদেশনীতির প্রধান সাদৃশ্য হল 'জোট নিরপেক্ষতা' [Non-Alignment] । নিরপেক্ষভাবে কোনো সমস্যার সমাধান করা এই নীতির মূল বিষয় ।

 💠 স্বাধীন ভারতে জোট নিরপেক্ষতার নীতি 


 স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর ভারতের প্রয়োজন হয় একটি সুষ্ঠু বিদেশ নীতির । সে সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং তাঁর সরকার দুটি বিবদমান রাষ্ট্রের কোনোটির পক্ষে যোগদান না করে নিজস্ব একটি বিদেশ নীতি নির্ধারণ করেন । সেই নীতির মূল লক্ষ্য হল তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র আন্দোলন গড়ে তোলা যার নাম জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন । জোট নিরপেক্ষ নীতির প্রধান তত্ত্ব হল পৃথিবীর সমস্ত শক্তিজোটের সঙ্গে ‘সম-বন্ধুত্ব ও সম-দুরত্বের নীতি’ বজায় রাখা । এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র, শোষণ ও বঞ্চনার অবসান, নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্তি, জনগণের জীবনযাপনের সার্বিক মান উন্নয়ন ইত্যাদি ।

💠 ভারতে জোট নিরপেক্ষতার প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য



  • (১) স্বাধীনতা বজায় রেখে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা ।
  • (২) উপনিবেশ ও বর্ণবৈষম্যবাদের বিরোধিতা করা ।
  • (৩) দীর্ঘ দুশো বছরের ব্রিটিশ শাসন ও শোষণে নিঃস্ব রিক্ত এবং দেশভাগের পরবর্তী বিধ্বস্ত অবস্থার মধ্যে সৃষ্ট অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক পশ্চাদপদতার অবসানের জন্য ভারতের পক্ষে নির্জোট ও শান্তির নীতি অপরিহার্য হয়ে উঠে ।
  • (৪) আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সামরিক শক্তি ও জঙ্গিবাদিতার পরিবর্তে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা, বোঝাপড়া ও সহনশীলতা ভারতের জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠে ।

Read More : প্রাগৈতিহাসিক যুগ |Prehistoric age MCQ প্রশ্ন উত্তর

About the Author

Teacher , Blogger, Edu-Video Creator, Web & Android App Developer, Work under Social Audit WB Govt.

All Chapter Contents

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.