আজকে আমরা সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান এর চতুর্থ অধ্যায় - জীব দেহ গঠনে অজৈব ও জৈব পদার্থের ভূমিকা এই অধ্যায়ের কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলো শুরু করা যাক:
![সপ্তম শ্রেণি- পরিবেশ ও বিজ্ঞান | পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা সপ্তম শ্রেণি- পরিবেশ ও বিজ্ঞান | পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVZ3aKkLE8c9xGllrWCLmO-KHDlbCCd8eKM7zJy-_NeI_TMuzcVh46nZSaKMeCUod65n_zM1Fallp463IKnLAONkCQxjaC1n-oaCKnKbj61_2V8pmaGl9J6EBu9JS1SVS6dHpbp_2NHls/d-rw/20200817_100827_opt.jpg)
▣ অধ্যায়: পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা | সপ্তম শ্রেণী
▣ উপ-অধ্যায়: জীব দেহ গঠনে অজৈব ও জৈব পদার্থের ভূমিকা
▣ নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ:
১. পৃথিবীতে প্রাকৃতিক মৌল কয়টি?
উত্তর: 94 টি ।
২. মানব দেহের শতকরা কত শতাংশ অক্সিজেন?
উত্তর: 65 শতাংশ ।
৩. মানব দেহের শতকরা কত শতাংশ কার্বন?
উত্তর: 18 শতাংশ ।
৪. মানব দেহের শতকরা কত ভাগ জল?
উত্তর: 60 শতাংশ ।
৫. শামুকের খোলস কি দিয়ে তৈরি?
উত্তর: ক্যালসিয়াম কার্বনেট।
৬. মেটে বা লিভার খেলে শরীর _______ পায়।
উত্তর: আয়রন ।
৭. ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটে _____ যৌগ থাকে।
উত্তর: ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3)
৮. জীবদেহে প্রোটিনের গুরুত্ব লেখ।
উত্তর: প্রোটিন জীবনের জন্য খুবই অপরিহার্য। কিছু বিশেষ বিশেষ প্রোটিন আমাদের রোগ-জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে।লোহিত রক্ত কণিকায় থাকা হিমু গ্লোবিন প্রোটিন দেহের সব জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।বিভিন্ন উৎসেচক প্রোটিন দিয়ে তৈরি যা আমাদের দেহের নানান ক্রিয়া যেমন: খাদ্যের পাচন, জীবাণু মেরে ফেলা, শক্তি উৎপাদন ইত্যাদি কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
৯. শর্করাকে জ্বালানি খাদ্য বলে কেন?
উত্তর: জীবদেহের শক্তির প্রধান উৎস হলো শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট। ফ্যাটের তাপন মূল্য বেশি হলেও পরিমাণে জীব শর্করা জাতীয় খাদ্য বেশি গ্রহণ করে। জীবের শক্তির প্রধান জোগান দেওয়ার উৎস হল শর্করা।উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বীজের সুপ্ত অবস্থায় বীজের ভিতরে যে শর্করা সঞ্চিত থাকে তা বীজ থেকে নতুন চারা কাজ বের হওয়ার সময় শক্তির যোগান দেয়। তাই শর্করাকে জ্বালানি খাদ্য বলে।
১০. মেরু অঞ্চলে প্রাণীদের চামড়ার নিচে পুরু চর্বির স্তর থাকে কেন ?
মেরু অঞ্চলের প্রাণী দের চামড়ার নিচে চর্বির স্তর থাকে।এই তাপের কুপরিবাহী। তাই প্রচণ্ড শীতের হাত থেকে বাঁচতে এই চর্বির স্তর সাহায্য করে। সিল, তিমি, সিন্ধুঘটক, মেরু ভাল্লুক ও পেঙ্গুইনের চামড়ার নিচে পুরু চর্বির স্তর তাদেরকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচায়। পরিবেশে টিকে থাকার জন্য অভিযোজনগত কারণেই তাদের চামড়ার নিচে এই স্তর সৃষ্টি হয়েছে।