আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 2 এর প্রশ্ন উত্তর নিয়ে। এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সাজেশন, বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর ও প্রতিনিয়ত পোস্ট করি। কোন রকমের সাহায্য অথবা মতামত জানানোর জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ অথবা অফিসিয়াল টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হও। তাহলে চলো শুরু করা যাক আজকের পর্ব:
নবম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 2
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো।
১. সত্য-মিথ্যায় বিচার করো-"আইসোবার গুলোর ভর সংখ্যা সমান হলেও ভর সমান নয়"
উত্তরঃ উক্তিটি সত্য।ব্যাখ্যা: আইসোবার হলো ভিন্ন পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট কিন্তু এখন ভর সংখ্যা বিশিষ্ট ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণু। আইসোবার গুলির প্রোটন নিউট্রন ইলেক্ট্রন সংখ্যা পৃথক হয় তাই আইসোবার গুলির প্রকৃত ভর সমান নয়।
ক্যালসিয়াম ও আর্গনের আইসোবার |
উত্তরঃ
২. ওজন বাক্সের বাটখারা গুলি 5:2:2:1 অনুপাতে রাখার কারণ কী?
উত্তরঃ
সাধারণ তুলা যন্ত্রের ওজন বাক্সের বাটখারা গুলির ভর 5:2:2:1 অনুপাতে রাখা হয় যাতে 10 মিলিগ্রাম থেকে 211.10 গ্রাম পর্যন্ত যে কোন মানের ভর এদের সাহায্যে মাপা সম্ভব হয়।এবং এটি করার জন্য সবচেয়ে কম সংখ্যক বাটখারা ব্যাবহার করা যায়। আলাদা আলাদা মানের অনেক বাটখারা লাগে না।
যেমনঃ বাক্সে ১ টি ১০ মিলিগ্রাম , ২ টি ২০ মিলিগ্রাম ও ১ টি ৫০ মিলিগ্রাম বাটখারা থাকে । এগুলি দিয়ে ১০ মিলিগ্রাম থেকে ১০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পরিমাপ করা সম্ভব । আবার বাক্সে ১ টি ১ গ্রাম , ২ টি ২ গ্রাম ও ১ টি ৫ গ্রামের বাটখারা দিয়ে ১ গ্রাম থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত পরিমাপ করা যায় ।এর বেশি মানের বাটখারা গুলিও এইভাবেই থাকে । এই ভাবে সব বাটখারা একসাথে ২১১.১০ গ্রাম পর্যন্ত পরিমাপে সাহায্য করে ।
৩. বায়ুশূন্য স্থানে এরোপ্লেন উঠতে পারে না কেন ?
উত্তরঃ প্রধানত দুটি কারণে বায়ুশূন্য স্থানে এরোপ্লেন উড়তে পারে না। যথা:
প্রথমত : এরোপ্লেন কে এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে এরোপ প্লেনের ডানার উপরিভাগের তুলনায় নিম্নভাগের বায়ুর বেগ কম হয়। ফলে বার্নোলির নীতি মেনে ডানার নিচে ভাগের বায়ুর চাপ বেশি হয় এবং এরোপ্লেন লিফট বা ঊর্ধ্বমুখী উত্তোলনকারী বল পায়। বায়ুশূন্য স্থানে এটি ঘটার সম্ভাবনা না থাকায় এরোপ্লেন উড়তে পারেনা।
দ্বিতীয়তঃ এরোপ্লেন আকাশে ওড়ার সময় বায়ুমণ্ডল থেকে সতেজ বায়ু শোষণ করে যা জ্বালানির দহনে সাহায্য করে এবং ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশ থেকে এমনভাবে নির্গত হয় যাতে একটি ধাক্কা বল সৃষ্টি হয়।বায়ুশূন্য স্থানে বিশুদ্ধ বায়ু না পাওয়ায় ধাক্কা বল (thrust) সৃষ্টি হবে না ফলে এরো প্লেন উড়তে পারবে না।
৪. রাদারফোর্ডের পরীক্ষা থেকে কিভাবে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে পরমাণুর অধিকাংশ স্থানই
ফাঁকা?
উত্তরঃ বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড সোনার পাতের উপর উচ্চগতিসম্পন্ন α-কণা নিক্ষেপ করেছিলেন। তিনি পর্যবেক্ষণ করেন খুব কমসংখ্যক আলফা কণা (২০০০০ এর মাত্র ১টি) সোজা বিপরীত দিকে ফিরে আসে।
যেহেতু, বেশিরভাগ α-কণাই সোনার পাত ভেদ করে চলে যায় এবং খুবই কমসংখ্যক α-কণা বিপরীত দিকে ফিরে আসে।তাই, তিনি সিধান্ত নেন যে , পরমাণুর কেন্দ্রে ক্ষুদ্রতম অংশে পরমাণুর সমস্ত ধনাত্মক আধান ও ভর অবস্থান করে এবং পরমাণুর অধিকাংশ স্থানই ফাঁকা থাকে।