অ্যান্টাসিড শব্দটি এসেছে Anti Acid থেকে যার অর্থ হলো অম্লনাশক।আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তা পাকস্থলীতে গিয়ে জমা হয় ও বিভিন্ন পাচক রসের দ্বারা ওই খাবার হজম হয়।পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড একটি অন্যতম পাচক রস।হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক সময় বেড়ে যায় তখন আমাদের অম্বল বা অ্যাসিডিটি হয়। অ্যাসিডিটির হাত থেকে বাঁচতে ডাক্তারবাবু আমাদের অ্যান্টাসিড খাওয়ার পরামর্শ দেন।
অ্যান্টাসিড বা অম্লনাশক কাকে বলে
যেসব ক্ষারিও পদার্থ পাকস্থলীতে নিঃসৃত অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড কে সাময়িকভাবে শোষণ বা প্রশমিত করে পাকস্থলীর pH এর মান স্বাভাবিক রাখে সেই সব পদার্থকে অ্যান্টাসিড বা অম্লনাশক বলে।
অ্যান্টাসিড কেন খায়
শরীরে অ্যাসিড বা অম্বল বেড়ে গেলে ডাক্তার অ্যান্টাসিড বা অম্লনাশক খাওয়ার পরামর্শ দেন যাতে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
অম্বল বা অ্যাসিডিটি কি
অনেক সময় মানুষের পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড অধিকমাত্রায় ক্ষরিত হয় এরূপ অবস্থায় পাকস্থলীর pH এর মান স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায় ।এরূপ অবস্থাকে অম্বল অ্যাসিডিটি বলে।
অম্বল হওয়ার উপসর্গ
অম্বল হলে নানান রকম অস্বস্তি অনুভূত হয় বুক জ্বালাপোড়া, ধোয়া ঢেকুর ওঠা , বমি বমি ভাব ইত্যাদি নানান রকম উপসর্গ অম্বল হলে দেখা যায়।
অ্যান্টাসিড এর উপাদান, উদাহরণ , খাওয়ার নিয়ম
অ্যান্টাসিড এর উপাদান
অ্যান্টাসিড মূলত এক প্রকারের মৃদু ক্ষারীয় পদার্থ। এন্টাসিড এর মূল উপাদান ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড Mg (OH)2 ও অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড Al (OH)3
অ্যান্টাসিড এর উদাহরণ
বর্তমানে, বাজারে নানান রকমের অ্যান্টাসিড এর প্রচলন আছে।জেলুসিল , পলিক্রল, মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া প্রভৃতি হলো বর্তমানে প্রচলিত কিছু অ্যান্টাসিড তবে জিনট্যাক, অ্যাসিলক, পান ডি, পেপফিজ, ইনো প্রভৃতি বর্তমানে প্রচলিত সর্বাধিক জনপ্রিয় অ্যান্টাসিড গুলির মধ্যে অন্যতম।
অ্যান্টাসিড খাওয়ার নিয়ম
অ্যান্টাসিড মূলত খাবার খাওয়ার আগে অর্থাৎ খালি পেটে খেতে হয় ।পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হাইড্রোক্লোরিক পাকস্থলীর গাত্র দিয়ে নিচের দিকে জমা হয় । তাই অ্যান্টাসিড যাতে পাকস্থলীর সবচেয়ে নিচের দিকে থাকে তাই খালি পেটে সবার আগে অ্যান্টাসিড খেতে হয়।
বর্তমানে উন্নত মানের অ্যান্টাসিডে কেবল এমন উপাদান ই থাকে না যা অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন করে অ্যাসিড কে প্রশমিত করে, এমনও উপাদান থাকে যা পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ ও কমিয়ে দেয়।